রবিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২০

গৌতম কুমার গুপ্ত




প্রহসন 




তুমি তো সোনা অন্তরীক্ষে আরূঢ় হয়েছো

হাত দিয়েছো নাবাল চাঁদে

অথচ আমাকে বলেছো থেমে যেতে আরোহণে

হয় নাকি!



ত্বকের বদল করে নিতে সময় লাগবে আলোকবর্ষ

এখনও জমে আছে বিদগ্ধ মেলানিন

রশ্মিরং ফিরে যাচ্ছে মাটিতে

পোড়াতে পারছে না এই শরীরী নিধি



নিরেট বাদামী হতে হতে থমকে যাচ্ছে ঘড়ি

কালাধিক রৌদ্র নিচ্ছি এই জৈবিক জিনে

ক্রোমোজমে জমে থাকা সমস্ত লবন পুড়তে পুড়তে

দই মাখামাখি চিনিলাবণ্য হলে

           ফোটাবো পুষ্পরচনা



মুখবিবরে গুহাপ্রদেশে লোভ রেখেছি ঝুলিয়ে

জানি ফিরে যাবে নধর পাললিক চাঁদ

ত্বকের অঞ্চলে ক্ষুধার প্রাবল্যে

পেয়ে যাবো অন্তরীক্ষে হাতের নাগালে

খুব করে মেতে উঠবো তখন মুদ্রা ত্রিভঙ্গে

নটরাজ হামি খাবে নষ্ট পুরুষ প্রহসনে









হাওয়া






হাওয়াকে ধরে আছি স্থির প্রজ্ঞায়

ব্যালকনির ধাতব বাতাসে

আপ্লুত এই শ্বাসমুহূর্ত



আর সব নিন্দার্হ ছিল

প্রাজ্ঞ আকাশ বাহুবলী সৌরতেজ

কথিত কাহিনীগুলি শ্রাব্য সুখকর নয়



অকাল চান্দ্রমুহূর্তে তুমিগন্ধে ভিড় বাড়ে

লোলুপ পৌরুষে মোহমুগ্ধ শ্রীময়ী রাত

সেখানেও আতরের গান চক্ষুর গ্লানি



ছুঁয়ে দেখি দেওয়ালের রক্তাপ্লতা বুভুক্ষু অনল

স্বেদবহুল চঞ্চলতায় অগভীর ফ্যালনা দৃষ্টি

মনস্ক হয়ে বুঝে যাই গতিবিধির নর্ম প্রলেপ



হাওয়াকে পারি না ফিরিয়ে দিতে

কথার টুকরো দেখার ভাঙা কাঁচ ছড়িয়ে যায়

রক্ত চলকে পড়ে বিশ্রস্ত লাগামে



সূদুরে আমার ছায়া মিলিয়ে যেতে থাকে

তবু হাওয়ার্নিভর থাকি প্রাণবায়ু ধর


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সম্পাদকের কলমে

মাস আসে মাস যায়। বছর গড়ায় বুলেট ট্রেনের গতিতে। নিরীহ মানুষ, হাভাতে মানুষ, দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ থাকে তার নির্দিষ্ট ঘূর্ণি আবর্তে। পৃথিবীর...