গণতন্ত্র
শূন্য মিনারের পাশে শতছিন্ন দেহ বাতাসে উড়ছে
পৃথিবী যে বানিয়েছিল বাতাস কিংবা নদী
পাহাড় কিংবা ঝর্ণা গ্রীষ্মের হাতপাখা
চাষ করে এনেছিল যারা শস্যধারা,কারখানা থেকে লৌহ ইস্পাত শতাব্দী রাজধানী ছুটিয়েছিল দুরন্ত, সে যদি ভুখা থাকে শ্রেণীহীন রাষ্ট্রহীন গণতন্ত্র কোথায় মুখ লুকিয়ে থাকে
এখন যেদিকে তাকায় দেখি নি:শব্দে মুহুর্মুহু
হাওয়া ওঠে খুব মনে হয় সমুদ্র কাছাকাছি বোধহয়, যে দেশে মীরজাফর বিভীষণ নরেন গোসাই ভায়েদের ভাতের হাড়ির খবর পাচার করে ছত্রহীন করেছিল বিপ্লব সে দেশে
স্বর্গরাজ্য হবে নিশ্চিত, এ তো স্বত:সিদ্ধ
যেদেশে আ্যন্টিসেপটিক থেকে কন্ট্রাসেপটিভ
কেলেঙ্কারি কোলগেট স্ক্যাম চিটফান্ড আই পি এল বেটিং সারদা নারদা সেদেশের ছেলেরা যে হাজারো ধর্ষক হবে এ আর বেশি কথা কি ?
লোভ ঈর্ষাকাতরতা থেকে বন্ধুত্বের অপমান
প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে কাকড়া কালচার
শুয়ার কা বাচ্চা ,কালো কুত্তা ...পুতুপুতু প্রেমজন্ম নেবে সেবাদাস সেবাদাসী
যে ভাগ্যবান নিষ্প্রাণ বরফের মতো সাদা
ছায়াপথে মিছিলের মুখগুলি নিষ্কলুষ নীল হয়ে যায়,আর এদিকে সুন্দর শুভেচ্ছা মূর্তি
পাজামা পাঞ্জাবীতে অবিচল তুমি এখনো
কুরুক্ষেত্র আর অযোধ্যা নিয়ে কবিতা লিখে যাও রাসকেল ....
এ তুমি কেমন তুমি
তোমাকে দেখেনি কেউ?তোমাকে বোঝেনি কেউ? তুমি মানুষের পান্তাভাতে নুনের জোগান হলে খুশি, তোমার আত্মার সঙ্গে ছোটে নি কোনো ট্রেন... দরজায় কড়া নাড়ার শব্দে
সুন্দর শুভেচ্ছা মুখ অনুপস্থিত আজো
শব্দের নির্বাক প্রতিধ্বনি আমাদের কোলহল
উদ্যানে হলুদ ফুল ,আজ নীল অন্ধকারে
বহুরূপী তুমি লোকে বলে
ঘন ঘন রং বদলাও সম্পূর্ণ মায়াবী চঞ্চলতায়
পেয়াজের দোকানে তাই আমি হাজার হাজার
ওয়াটের বাল্ব জ্বালিয়ে রেখেছি
তিমিরবিনাশী আলো যা তেভাগাতে ছিল
স্পাটাকার্সে ,দুধেভাতে ছিল না কখনো...
হে সমবেত নীরবতা
কী কথা বলতে গিয়ে কী কথা বলেছি
নিশ্চিত মানি আজ গাছে গাছে
কাটারির দাগ , স্পর্শ মাত্র বিদ্যুৎ প্রবাহ
শূন্য থেকে শুরু হলে এ অপবাদ জনরব
দারুণ ডায়ালগ বলে লোকে
কৌতুক ওড়ায় আর কিছুই বোঝেনা যারা
তারা ধুলোয় ধুলোয় কাটাকুটি খেলে
অথচ ব্যালটে কত ছবি আধারে কত মুখ
তিমিরে জড়ানো কত দাঁড়ে বসা পাখি
হলো তো এ কাব্যি , কৃষিকাজ
ঝুলে ঝুলে পড়ে ক্যালেন্ডার,নীল পাতা
ঝাঁকে ঝাঁকে ডিম পাড়ে মাছে
সুবর্ণ পিদিম জ্বেলে নীরবতা শব্দ করে ফাটে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন