রবিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২০

দেবাশীষ মুখোপাধ্যায়




বিজ্ঞাপনের বাইরে যা কিছু

 






আগুন আর বারুদগন্ধ পার হবার পর

বমি উঠে আসছে বুঝতে পারি

ভিতরে কোনো গান বাজছে না

ভারী বুটের শব্দ ও জলপাই পোশাক

লন্ডভন্ড করে যাচ্ছে সাজানো ঘর

নির্জনে পেতে রেখেছিলাম  সেতার

দিনের পুড়ে যাওয়া শেষ হলে

বারান্দার ফুলের টবে রক্তের গন্ধ

স্বরলিপির খাতায় উড়ে আসছে ছাই

নীরব করে দাও হে তোমার মুখের...







বাঁক বদল হচ্ছে তোমার ভাষার

ঘিরে ধরে আছে ক্লান্তি ও অসময়ে

বিষন্ন নামের এক ছুরি লেখার বুকে

এ কোনো সঙ্গমের বর্ণনা নয় আবার হয়তো বা

শীতকালে এতো মেঘের আনাগোনা

তবুও গোপন থাকছে না কিছুই

সমস্ত খুলে যখন বসে রয়েছে

জানালার এপারেই হিম এক ঘর

হাতে হাত ঘষলেও উষ্ণতা জন্মায় না

মায়াময় তোমাকে তুলবার পর

তোমার মুখের লেখাগুলো পড়ি

বসন্ত এসে গেছে...







পুরনো বাড়ির কাছে পৌঁছে যাই সন্ধ্যায়

সম্পর্ক কেঁদে উঠলে এড়িয়ে ধরে আনি

কিছু নতুন রঙ পাল্টানোর তাগিদে

রুমাল বিড়াল হলে আনন্দ ছড়াই

পাখিদের বাড়ি বেশিদূর নয়

ডানাছাড়া তাকে কল্পনায় আনি নি কখনো

সেইরকম সেই বৃদ্ধ আমগাছ

এখনো শৈশব ডাকে দুপুর ছায়ায়

অনেক হারিয়ে কিছু হারাই নি ভেবে

ফিরে আসি সাদাকালো সিনেমায়

এ মন জোছনায় অঙ্গ ভিজিয়ে...







ফলকাটা ছুরি হাতে জমে গিয়েছিল খেলা

আতঙ্কও রীতিমতো উপভোগ্য বিষয়

ভরা কোটাল আসবার আগে ও পরে

অস্থিরতা এঁকে ফেলে শ্লথগতি উট

অথচ এই মরুভূমি তোমারি দেখানো

বাঁশিওয়ালা বুড়ো লোকগীতি থামানোর পর

জিজ্ঞেস করে না বর্তমান গৃহযুদ্ধ কথা

শরণার্থী শিবিরের দিকে তবুও পা

এইসব শব্দ বাড়ানোর কুশলীকে

একটি দীর্ঘ শান্তিপত্র  লিখি

দিনের শেষে ঘুমের দেশে...




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সম্পাদকের কলমে

মাস আসে মাস যায়। বছর গড়ায় বুলেট ট্রেনের গতিতে। নিরীহ মানুষ, হাভাতে মানুষ, দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ থাকে তার নির্দিষ্ট ঘূর্ণি আবর্তে। পৃথিবীর...