পুং কাব্য
কি হয় কি হচ্ছে কি
হবে চাঁদ উঠছে তারা ফুটছে
মধ্যগগন অলসযাম রাতপাহারায় চোখের নিশি
অসংযমী হাতের নিশপিশ সংলাপে স্বেচ্ছামেহন আগন্তুকে ঋতুমতী শ্রোণীদেশের কল্পছায়া
নারীগমন স্তনভারের স্পৃশ্য ভাষায় প্রলাপ সকল
স্বল্পসময় আনন্দ মোহে বাতাস দোলে
চুইংগামে আঠার প্রলেপ চুক চুক
ঝাউপাতায় ঘুমোচ্ছে একা কবি
অন্যজন জেগে আছেন কি হবে তাঁর ভেবে ভেবে
পার করে দেন হাজার রাত
এখনো তো শেষ হয় নি শেষ
ইচ্ছে জাগে কোথায় পাবো হৃদগামিনী
ভেবে ভেবে তুমি যামিনী কাবার হলে
এক ভুবনের মায়া জড়ানো প্রেমোৎক্ষেপে
এক জন্ম শেষ হল না বিষাদ কিংবা আরামপ্রদ জিহ্বা জুড়ে ঠোঁট চিবানো আদর বাসা
শয্যাকেলি সাঁতার শেখা পুরুষপ্রবর তাজমহলের সাতকাহিনী
অমরত্ব পাবেন কিনা নারীর চোখে প্রশ্নবোধক
তা হোক এর পরেও কুলুকুচু আবার একটি সকাল পেরোয়
রাতগুলো যে ভাল লাগে যুবতী নারী হাতটি ছোঁও
জ্যামিতি
তুমি যখন বৃত্ত করে নিচ্ছো নিজের চারদিকে
তখন আমি সরলরেখায় হেঁটে যাচ্ছি বরাবর
সূর্যের একফালি রোদ ত্যারছা পথেই নেমেছে
তোমাকে আড়াল করে আছে একটি হীরকদ্যুতি
আমার চোখে তুমি ইন্দ্রজাল ভাসিয়ে দিয়েছো তখন
এতো অবাধ্য নই আমি পরিধি ভেঙে বৃত্তে ঢুকে যাবো
আমার হাতে কোন জাদুকাঠি নেই
কি ভাবে সম্মোহন দেবো তোমাকে
পরিমিতি বুঝেও এড়িয়ে যাই
আয়তাকার কিংবা বর্গাকার অথবা বহুভূজ
সরলরেখায় হেঁটে যাই বৃত্তীয় সব বেড়াডাল ফেলে
চোখের সামনেই দেখি নদীটি এঁকেবেঁকে চলে গেল
পাখিটির উড়ানেও সরলতা থাকলো না কিছুমাত্র
পথে যেতে যেতে আমিও কখন বেঁকে চলে গেছি
তোমার বৃত্তের পথে
তুমি হাতছানি দিয়ে ডেকে নিলে আমার গতিপথ
আমি পথের গন্তব্য ভুলে
বৃত্তের ইশারাতে ঢুকে পড়লাম একদিন
গিরগিটি
গিরগিটি এক রংদার ঘাড় উঁচিয়ে দ্যাখে
অভিজাত বর্ণ সাতমহলার পাথর
রংচংয়ে হতে ইচ্ছে করে বহুরূপীর
লালগোলাপের ত্বকে কেমন চাঁদ ডুবে যায়।
সমগ্র মাংসখন্ডে সেই ফ্যাকাশে রক্তমহল
হাতের কলকব্জায় কালচেপানা বিষ
নেড়ে চেড়ে উঠে আসে ফ্যানভাতের গপ্পো
কাগজে ভাসায় বর্ণানুক্রম একে চন্দ্র ২ পক্ষ।
ধারাপাতই শেষ হল না বর্ণ ভাষার
তার আবার ঠিকরে যাওয়া চাঁদ
এখনো শিরায় শিরায় ভালবাসার থুতু
জড়ো করা খড়ের ভেতর মাটির লেপন।
ঘাড়ের ওপর রং লাগিয়ে দিব্যি চেরা চোখ
হিসহিস মুতের জল নামছে এঁকেবেঁকে
পায়ের কাছেই ক্লিন্ন শিকার জাত অভিজাত
গিরগিটি রঙ ঘাড় উঁচিয়ে দ্যাখে মানুষ রঙ।
।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন