রোজনামচা
বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড... ব্যালান্স ফুরোল।
ইন্টারনেটে গল্প কই? গল্প চাই-ই চাই !
ছাদের বড় ফুটোটা দিয়ে এসে
স্টেশনের মেঝেতে পড়া সূর্যালোক
সবাই পাড়াচ্ছে। দিব্যি লাগছে !
এখানেই কোথাও হারিয়ে গেছিল নোটগুলো।
ঠোঙা হয়ে গেছে সেগুলো এখন বোধহয়, হায় !
লাইন-এর হলুদ ফুলগুলো কি সুন্দর !
গাছটা আগাছা। হাওয়ায় চোখ নিষ্ক্রিয় !
টিগ-ডিগ, টিগি-ডিগি, টিগ-ডিগ-ঢিগ,
ডিগি-ডিগি- ট্রেনের কতো শত ছন্দ !
হেলে-পড়া সূর্যালোক বাল্বটাকে ছুঁয়ে
ক্যারাম-এর বোর্ডে এসে পড়েছে।
গুঁটিগুলোর মধ্যে ফাঁক রয়েছে বেশ।
চাঁপা ফুলের মতো খুসকি ঝরছে ;
খুসকি আর কানের খোল। পাশেই
খোলা ড্রেন-এ জমছে বেলেমাটি।
মশার গায়ের গন্ধ পাচ্ছি।
ঘড়ির কাঁটা আর হৃদ্ যন্ত্র
এক হয়ে গেছে। এ.সি.-র চোরা হাওয়া
এবার তার উপস্থিতি জানান দিচ্ছে।
তাও, পাখা না চালালে পোষায়, বলো ?
ফুল স্পীডে হলে আরো ভালো, হা হা !
তবে, চোখ বন্ধ করলেও যে বাঁদর... !
একটা পাখী প্রথম ডাকতে শুরু করে
শেষ রাতে- একই পাখী রোজ রোজ।
শ্শ্শ্..., শব্দটা আর হচ্ছেনা, তাই না ?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন