অবমৃত্তিকা
হৃদয়ের ভেতর থেকে রক্তাল্পতা ছিন্ন করে
একটি শিকড় তু্লে আনতে গিয়ে দেখি
ডুবে আছে অবমৃত্তিকায়
শুকিয়ে গেছে তার পত্রপুষ্পমালা
তবু খুঁজে দেখি উথাল পাথাল
কোথাও কিছু শ্বাসটুকু আছে নাকি
এখনো প্রাণ রয়ে গেছে যদি লীন উত্তাপে
একটি প্রবল পাথরের গন্ধ পাচ্ছি চোখে
একটি অসাড় ইন্দ্রিয় খুঁচিয়ে দেখি
এখনো যে বেঁচে আছে দিনরাত্রি জলবায়ু
সূর্যোদয় সূর্যাস্তের রোজনামচা
এখনো দৃশ্য স্পর্শ গন্ধ স্বাদ
শ্রবণের পাখি জেগে আছে
আমি তার চক্ষু চিনি চঞ্চু চিনি কাকলি বুঝি
এখনো যে বেঁচে আছে
সবুজ শস্যভারের পরাগপদ্ধতি
আমি তাকে লোহিত ভাষা জানাবো
শ্বেতকণা তুলে দেবো হাতে আরোগ্য বোঝাবো তাকে
শিকড়ে গেঁথে দেবো বৃষ্টি ও সূফলা
কর্ষণ উপযোগী মৃত্তিকা মল্লিকা
ভেষজ ওষধি গুণে একে একে তুলে দেবো
মেধা ও শ্রম
বাঞ্ছিত সাধনায় উঠে যাবে চাঁদ ধ্রুবতারা শোণিতে
অনুভবে টান মেরে লিখে যাবো শোষণ শাসনের বিষ
যেটুকু আছে আনন্দ অভিধা স্বাভিমানী
প্রকৃত অন্বেষণ
...................
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন