বাংলার বুকে আজ নির্জন অন্ধকার
এই যে, বাইরে এখন প্রবল বৃষ্টি। একান্ত নির্জন এবং নিরাবিল। দূরে বিচ্ছুরিত আলো চুপি চুপি কাঁদছে। তুমি কেমন আছো বালক? তোমার সমস্ত নগ্নতার ওপর ঝরে পড়েছে কি বৃষ্টি-ফোঁটা? নাকি তোমার সমাধিস্ত অস্তিত্বের গায়ে প্রবাহিত হচ্ছে রক্তস্রাব...! তুমি কি জানো, বাংলার বুকে আজ নির্জন অন্ধকার! সমগ্র দেশ জুড়ে উদযাপিত হচ্ছে রাত্রিকালীন পরাজয়! তোমার ভূখণ্ড থেকে সমস্ত মোমবাতি নিভে গেছে আজ। তুমি জানো না বালক, ওরাও তো তোমারই মতো কত রাত মিছিলে হেঁটেছে! স্বপ্ন ফেরি করবে বলে ক্রমশ ক্রমশ ক্রমশ বিকিয়ে গেছে নগ্নতার কাছে...
ওরা আজ বধির
কর্মহীন ঈশ্বর
অন্ধ চরাচর
তবু, তুমি ভিজতে ভিজতে ভিজতে তোমার অপারগ ঠোঁটে একটু একটু করে সেলাই করেছ নিশ্চুপ প্রতিবাদ। তবু, ভেজা কাচের গায়ে পৃথিবী আজ আবছা-- অস্পষ্ট...!
অগ্রন্থিত শব্দ-কথন
১
কবিতা লিখব বলে কেটে গেছে গোটা একটা বেলা। একটা দিন। মাস। বছর। অগ্রন্থিত সময়ের চলন। তারপর... তারপর... নুয়ে পড়েছে নিয়ত রাতের আলো। তবু আমরা মাঝে মাঝে কবিতা লিখি। অক্ষরশ্রমিকের খাতায় উড়িয়ে দিই ধুলো-ঝড়। অরণ্য-রোদন। সেইসব কান্নারা ফিরে ফিরে আসে, আবার চলে যায়। আমাদের পাশে রেখে যায় শিরোনামহীন কিছু শব্দ-আলো...
২
আমার ঘরময় এখন হলুদ আলোর রঞ্জক। প্রজাপ্রতি বিকেলের পাশে ছড়িয়ে পড়া আলপনা-সন্ধে। চাঁদ আর অভিমানে নত হওয়া মেঘ। আমিও বিগত জন্মের আড়ালে ঘুমিয়ে পড়েছি শব্দহীন কাঠঠোকরা এক। আমার বসতবাড়িতে মেঘ এসে বসেছিল অভিমান বিলোতে বিলোতে। দু'দণ্ড বিশ্রাম নেবে বলে। তারপর অভিসারে যাবে তারা। কামরাঙা রঙের বন। গাছেদের অহংকারী রমন। কামিনী ফুল ও মাধবীলতা মেখে অভিসারে যাবে তারা...
৩
আমিও অভিসারী পথিক হয়ে বসে আছি অপেক্ষার পথে। অগ্রন্থিত রাতের কিনারে। আলোর বিনুনি ধরে দু'একটা অক্ষর আসবে বলে... বসে আছি... বসে আছি আজন্মকাল... বসে বসে পথিকের ক্রন্দন শুনি। তবু বসে আছি... বসে আছি... বসে আছি...
‘বাংলার বুকে আজ নির্জন অন্ধকার ’...ধ্রুব পদের মতো আমার কানের কাছে বেজে চলেছে.. খুব ভালো লাগলো।
উত্তরমুছুন