সাহিত্য -সংস্কৃতি, রাজনীতি ও আমিত্ব
সমাজের আলো অন্ধকার সবটাই উঠে আসে সাহিত্য সংস্কৃতির পাতায়, কিন্ত ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে আগের চেয়েও এখন সাহিত্য সংস্কৃতিতে 'আমি' 'আমি' বিষয়টা এতটাই বেশি হয়ে গেছে যেখানে মানুষের কল্যাণের দিক অপেক্ষা আত্মপ্রচার ও আত্মপ্রতিষ্ঠাই মুখ্য।
এই অস্থির সময়ের বুকে রাজনীতি এমনভাবে পা রেখে দাড়িয়ে আছে, যে কোনো কিছুই প্রায় রাজনীতির সঙ্গে সমঝোতা না করে এগোতে পারে না। তাই সব শিল্পী,সাহিত্যিক রাজনীতির হাত ধরে নিজেদের খ্যাতির গ্রাফরেখা উন্নত করতে চায়। বর্তমানে সাহিত্য ও শিল্পের নানা ক্ষেত্রে যে পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে, তা মূলত প্রতিভার বিচারে নয়…রাজনৈতিক স্নেহ-ছোঁয়ায়!
শুধু বড় মঞ্চ নয় পাড়া গাঁ বা ব্লক এলাকার বিভিন্ন জায়গাতেও বিষয়টা একই রকম। সমস্যাটা হচ্ছে তাঁদের যারা শিল্পী হিসেবেই বাঁচতে চায় রাজনীতির হাওয়া এড়িয়ে।
আমাদের আশেপাশে যে সরকারি অনুষ্ঠানগুলো হয়, সেখানেও রাজনীতির ছোঁয়া-ঘেষারায় ডাক পায়, যতই তারা ঘষামাজা হউক!
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে এলাকার অন্যতম প্রতিভাধর শিল্পীই একেবারে অর্বাচীন। তবে যে শুধু রাজনীতিকরণ থাকে তা নয়, আমিত্বের বৃত্ততাও বিশাল।
অর্থনীতি নির্ভর পৃথিবীতে মানুষ সবকিছু থেকেই অর্থ উপার্জনের পথ খোঁজে। তাই সরকারি অনুষ্ঠানে শিল্পী হিসেবে অংশগ্রহণ করতে পারলেই মেলে কিছু সাম্মানিক!যা পাওয়ার জন্য কেউ নিজেকে জাহির করতে পাশের অরাজনৈতিক মৌলিক -শিল্পীকেই ঢেকে দিতে কোনো না কোনো অন্যায় কৌশলের সুড়ঙ্গ বেছে নেয়, ফলে সাহিত্য সংস্কৃতির মত পরিসরেও রাজনীতি ও আমিত্ব বড় হয়ে ওঠে!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন