শুক্রবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৩

শুভদীপ মাইতি

 




শূন্যতা পেরোতে চাইনি



আকাশের নীলিমা থেকে যখন ছুটে যায় একের পর এক তারাখসা,

আমার স্মৃতি সমাগমে জড়ো হয় উদ্বাস্তু তোমার অমলিন কথারা।

কথারা দীর্ঘ হলে সূর্যাস্ত ছুঁয়ে যায় মাটি


কতোটা গভীর ভাবে পুড়ে গেলে, ধূপদানি থেকে ছড়িয়ে পড়ে গেরস্থময় সুগন্ধি ঘ্রাণ।

আমাদের বিভাজন ঘিরে পড়ে থাকে দংশন ও মৃত সরীসৃপের দেহ


আমি দশমিকের পাশে বসে শূন্যতা পেরোতে চাইনি বলেই,

তোমাকে লেখা প্রতিটি পংক্তির পর অসীম শূন্যস্থান ও মারাত্মক জখম।


আমাদের আলাদা হওয়ার মরসুমে ক্রমশ পাথর হয়ে উঠছে উপাস্য হৃদয়।

ভেতরের শৈলশিরা ভেঙে গেলে জলস্তরে উপচে পড়ে প্লাবন সমূহ




রোপণ

 


আমাদের কোনো ঋণ ছিলোনা। তবু দুটি ঢেউ পরস্পর মিশে যাচ্ছে বালুচরে।

আমি তো কোন উষ্ণতা ভাগাভাগি করিনি তেমন, অশ্রুময় যাত্রাপথে শ্লথ অশ্বঘোটক


একটি রোদ ঝলমলে বালুচরী বিকেলে মায়া প্রপঞ্চক তোমাকে ভাবতেই, ক্ষরণ;

আরও দগদগে হয় জন্মদাগ ও স্তব্ধতাময় কাঁকড়ামাটি।


চরাচরময় জেগে উঠছে নিজস্ব জলের বুদবুদ ও নোনাচাতরের উত্তাপ।

আমি হাতের তালুতে জ্যোৎস্না রেখে নিশ্চিন্তে পেরিয়ে যাচ্ছি খাঁড়ি পথ


তোমার মানচিত্র জুড়ে আমি যখন নিজেকে খুঁজে পাচ্ছিনা আর;

একটি মধ্যবিত্ত শরীরে কিভাবে রোপণ করছে লবনাক্ত ঈশ্বরী।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সম্পাদকের কলমে

মাস আসে মাস যায়। বছর গড়ায় বুলেট ট্রেনের গতিতে। নিরীহ মানুষ, হাভাতে মানুষ, দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ থাকে তার নির্দিষ্ট ঘূর্ণি আবর্তে। পৃথিবীর...