শুক্রবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৩

গৌতম কুমার গুপ্ত

 




নষ্ট দ্বিতীয়ার চাঁদ



'উঁহু 'করে ওঠো নি তুমি

'আহা'তেই ছিলে করুণার শ্লেষে

সোহাগের থেকে ঝরে গেছে শ্রাবণসন্ধ্যা

আজ মৃদু হেমন্তে শিউলী সাদরের সৌরসকাল


আপ্যায়ন শিখি নি আমি অনাদরও দিই নি

আমাতে কোন মৌতাত জমে নি তাই

সরিয়ে দিই নি তোমার অলককুঞ্চন কৃষ্ণবর্ণরেখা 

চিবুকে ভাসাই নি কোনদিন স্পর্শরতিরাগ


অথবা তোমাকেই বর্ননা করি দ্যাখো ..........


ওষ্টদেশে একফোঁটা মুক্তো জলবিন্দু ছিল তোমার

বোঝাতে পারি নি তোমাকে সৌন্দর্যাভিমান

একটা অসহ ক্লান্তি হৃদয়ে প্রোথিত ছিল 

একটি বিবিক্ত অনুরাগ থেকে খসে পড়ে পরাগরেণু


নাকি নিজে নিজেই লিখেছি সর্বনাশা সুখ

প্রাণান্তকরেও খুঁজতে যাই নি সুরূপা তোমার টিপ

খেয়াল করো নি তুমি মুছে গেছে প্রেমবর্তিকা

কপালে তোমার ঝুলে আছে নষ্ট দ্বিতীয়ার চাঁদ ।।




তোমার জন্য



এই দ্যাখো স্বরচিত জ্যোৎস্নায় ভেসে যাচ্ছি

আর ততোবারই ফুটে উঠছে তোমার মুখ

এসবই আমার মুখস্থ চাঁদের বানান ও সংশোধন

তোমার চোখের জল রাজহংসী গ্রীবা ও ভ্রুকূটিসহ 

দুটি স্থলপদ্ম একটি পাতাবাহার


হৃদয়স্থ হয় নি এখনো তোমার শাড়িটির জমিজমা

চরাচর জূড়ে পাখিটি সর্বনামে ডাকে 

ততোবারই তোমার ঠোঁটের রক্তিমা

বেজে ওঠে নরম আলোয়

আমি আগ্রহভরে শুনি ধ্রুপদী মীড়ের টুং টাং


বাঁক খেয়ে উঠে আসছে সফেদ এক প্রাচীন শকট

আরূঢ় তুমি এক রাজতরঙ্গিনী কন্যা প্রহেলিকা

মুদ্রা ছু্ঁড়ে স্বাগত জানায় আমার না -বলা কথা

ততোবারই তুমি অদৃশ্য হচ্ছো মেঘের আবডালে


আমি হাজারবার উচ্চারণেও পাই নি কখনো

তোমার অন্তর বাহিরের সহজ একটি প্রবেশ ।।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সম্পাদকের কলমে

মাস আসে মাস যায়। বছর গড়ায় বুলেট ট্রেনের গতিতে। নিরীহ মানুষ, হাভাতে মানুষ, দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ থাকে তার নির্দিষ্ট ঘূর্ণি আবর্তে। পৃথিবীর...