মাছবিক্রেতার আঁশটে দেহেই কি ব্রহ্মচর্য ?
ভ্রমরের পাশে যদি এসে বসে একপশলা বৃষ্টি আর একটি স্বস্তিকচিহ্ন, এযাবৎ কালের সঞ্চিত সমস্ত দারুচিনি দ্বীপ থেকে যদি খসে পড়ে ঘুঙুরঘর তাহলে কি ঠাঁই হয় রাস্তার কোণে? গাছের নীচে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে একসময় মানুষও যে গাছ হয়ে যেতে পারে সেই ধারণাটুকু জনসমক্ষে বিলিয়ে দিয়ে কি আদতেও জন্ম দেয়া যায় প্রসবঘরের দেওয়াল ? পাঁচিলের গায়ে এই যে স্যাঁতসেঁতে ভোর আর মৎস্য সংগ্রহকারীর হাতের ছাপ, এরা সত্যিই কি মাছ বিক্রির পর নৌকায় করে ভাসিয়ে দেন বর্জ্য আঁশ ?
এইসব ছাইপাঁশ প্রশ্নের রাস্তায় কাঁটাতারের বেড়া, 'প্রবেশ নিষিদ্ধ 'দেখার পর ফিরে যায় লোকজন । সাথে তাদের বাচ্চাকাচ্চা গরুবাছুর আর কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। চশমার ডাঁটি অথবা মশা মারার ধূপ অথবা টর্চের ব্যাটারি...
সমুদ্রস্নান সেরে গায়ের বালি ঝাড়ার মুহূর্তে আচমকা মনে হয় এই যে বাড়তি ফেনাটুকু বা ভিজে কাপড়ে লেগে থাকা অতিরিক্ত বালি, এসব বোধহয় ভিখিরি জন্মের ঘটি কেনাবেচা ছাড়া আর কিচ্ছু নয়
সূর্য অস্ত যাবার পরমুহূর্তেই জীবন টিয়ার খাঁচা, মাছবিক্রেতার হাঁড়ির খবরে কানকোর রক্তজাল। ঐ জালই কি অদৃশ্য ঘেরাটোপ ? ঘেরাটোপের বাইরে সবাই নাবিক। আর নাবিকের থেকে এক ইঞ্চির দূরত্বে সকলেই ফেরবার জলচর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন