ঝড়ের গতিতে এগিয়ে চলা
মুখকে চেপে রেখেছি মুখোশের আড়ালে,
কালুডোমের কথা মনে পড়ে
একবুক জল পেরিয়ে আদাজল খেয়ে
আমাদের উঠোনে নাচনকুদন করেছিল।
বাবা সাত্বিক মানুষ বলেই ও-রকম
অনাচার সহ্য করে ছিল জোৎস্না মেখে
নীচের কার্ণিশে বেহালা বাজছিল
একরকম নিরামিষ ভোজী অহনা।
আলতা ফড়িঙ্ রঙ মেখে যে মেয়েটি আমার
প্রথম প্রেমে পড়েছিল
রোদ্দুরের বাতাসে তাকে ভিজতে দেখি
একটা ঝড়ের গতিতে এগিয়ে চলছে
মুখোশের আড়ালে অতর্কিত আক্রমণ অপেক্ষা করছে।।
জনু পিরের মাজার
পাঁচ ফুট মাটির নিচে নেমেও পাইনি
জনু পিরের দশ ফুটের দেহাবশেষ
সেই কবেকার কথা অন্ধকার বিদিশার
গর্ভে দত্তক বাড়ির জন্মদিন চলছে।
সতেরজন অশ্বারোহী হাতে নিয়ে দুপুরে
আক্রমণ করে বসে বণিকদের ইচ্ছা
নির্বিচার সিংহাসনে বসে আছে ঈপ্সার
একগুচ্ছ নিস্তব্ধতার জাল ভোট।
জনু পিরের মাজার জিয়ারত করতে এসে
মনে পড়ে ইস্পাহানী যুদ্ধের কথা
সকাল-বিকাল কত ফুল পাতা আর শিরনি পড়ে
আমি খুঁজি পলাতক অশ্বারোহীর ভেজা কাফন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন