একটি ছাপোষা লেখা
বিগত রাত্রির মতো চুপি এলো অদ্ভুতুড়ে হাওয়া
লালনগীতির পথে আমি বসে রসকলি কাটি
প্রেম ছিল অনামূখী জিজ্ঞাসার সমূহ পিছনে
তাই তাকে আজও ঠিক সমীচীন বলেও ভাবিনি
বুকেতে পাথর-শলা, মৃদুভাষ মৃদঙ্গ সপ্তমে
রাঁধুনি বাঁধিছে তার মেয়োনিশ নিশুত ট্যাটুটি
ঘর ছিল ঘোর কালে,আজ সেও রমণের শ্রমে
উদ্বায়ী এই বেলা রেশনের চাল খায় খুঁটে
আমার নিজস্ব যাহা সবই আজ ভাতার খেয়েছে
শ্রেণিসংগ্রাম কথা কিংবা কোনো ফরাসী কবিতা
দুদিকেই তছনছ আহাম্মক এ জীবন বাপু
নির্মল দণ্ডখান একবার উচাও তো দেখি
জৈব এই ছায়া আর আলোকের ক্লান্ত বিছানায়
প্রাইমারী স্কুলমাঠ ভরাকোটালেও বড় ফাঁকা
ভাষাহীন পরবাসে ক্লিন্ন যত ধূপ-বাতি কথা
শীৎকারে ফুঁসে ওঠে অচানক ভয়ের তাগিদে
আজ চিরিদিকে যেন চাওয়া-চাইয়ি করছে বিকেল
শীর্ণ নদীটি তার পলকের সম্ভ্রম লুকিয়ে
আনচান জলতলে রেখে দিল যে ফুল বিরহে
তার উচাটন বুকে দেখো ভালোবাসার জরিপ
ইতিহাস উতড়িয়ে একা বাজে বেজায় সকালে
হারানো ঘোড়ার খুর জেগে ওঠে এ পোড়া কপালে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন