কথাশরীর
আমার আকাশে অগণ্য নক্ষত্রে চিররাত্রি সাজিয়ে দিয়ে তুমি চলে গেছ,
বোঝোনি দিনের আলো না থাকলে রাতের ঘুমও গায়েব হয়ে যায়
এত অনায়াস বৈকল্য ছিল তোমার যখন বাহির হলে,
অথচ তোমরা একপেট খিদে বিছিয়ে দেশের সীমান্তে চালডালতেলনুন ঢেলে দিচ্ছ, যেভাবে কৃষক শ্রম ও স্বপ্ন ফেলে দেয় রাস্তার ধারে অধিক ফলিত ফসলের ভেতর ;
জীবনের খাজাঞ্চিখানা প্রয়োজন মাফিক কখনও সিল করে, কখনও গোপন রাজনীতির চালে খুলে রেখে
এই আমাকে সন্তানসহ মারছ মগজে ও শরীরে
নিঃশব্দে পাগলা ষাঁড় লেলিয়ে দিচ্ছ আমার পিছনে, ওদিকে প্রতিটি গলিমুখে কারবালা গড়ে পাহারা রেখেছ
কীকরে ঘুমাই? ঘুম চুরি হয়ে যায় প্রতিরাতে
কথার তুরপুন উড়ে আসে সুতীক্ষ্ণ বিষমুখ নিয়ে জীয়ন্তে তিমিনী শিকারের উল্লাসে
হ্যাঁ, আমি দেহমনেমগজে বিরাট, আমার মাথা আকাশ ছুঁয়ে যায়, আর পা মাটি ভেদ করে সাগরের পেটে।
দশহাতে আমি ধরে রাখি ধরিত্রী, তোমাকেও ধারণ করি আশরীর, হে পুরুষ!
তবু নখে দাঁতে কাটো এ' শরীর, ছিঁড়ে ফেলো কলিজা দিল
সন্তানের পিতা তুমি - ভুলে যাও, দুজনের স্বর্গে খিল দিয়ে নরক দেখাও, ভেঙে দাও ঘুমের দরজা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন