শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০২৪

সুমালী দাস চ্যাটার্জী

 উপলব্ধি



সদ্যকিশোরী রাইয়ের খুব মনখারাপ।

দুর্গাপূজায় বন্ধুদের কতগুলো নতুন জামা হয়েছে। অথচ তার মাত্র একটা জামা, তাও আবার সাধারণ, কমদামী। বন্ধুদের কাছে সে মুখ দেখাবে কি করে। রাই একবারও ভাবলো না যে তার বাবা সামান্য মাইনের চাকুরে। পুজোতে মা-বাবা নিজেদের জন্য কিছু কেনেননি কিন্তু আদরের একমাত্র মেয়েটার মুখে হাসি দেখার জন্য একটা নতুন জামা ঠিক কিনে নিয়ে এসেছেন। নতুন জামাটা দেখে কোনো আনন্দ‌ই পায় না রাই।

বারো বছর পর--

দুর্গাপূজায় কেনা দামী ডিজাইনার শাড়িগুলো দেখছিল মিসেস রাই মুখার্জী।

কলকাতার এক অভিজাত পরিবারের পুত্রবধূ এখন সে। অর্থের অহঙ্কার এই পরিবারের ভূষণ। জলভরা চোখে দামী
শাড়িগুলো দুহাতে তুলে ধরে কাছে আনে সে- উপলব্ধি করে ছোটোবেলার সেই জামাটাতে বাবা-মায়ের নিঃস্বার্থ অমূল্য ভালোবাসার স্পর্শ ছিল যা আজ হারিয়ে গেছে। দামী শাড়িটা দেখে তাই আর কোনো আনন্দ হয় না তার।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সম্পাদকের কলমে

মাস আসে মাস যায়। বছর গড়ায় বুলেট ট্রেনের গতিতে। নিরীহ মানুষ, হাভাতে মানুষ, দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ থাকে তার নির্দিষ্ট ঘূর্ণি আবর্তে। পৃথিবীর...