গরু চরানোর মাঠ থেকে
গরু চরানোর মাঠ থেকে
আপাতত সূর্যাস্ত দেখছি
প্রতিটি ধেনুর গায়ে মোলায়েম আলো
দৃষ্টির বাইরে
, নিশ্চুপ সমাধি নিচ্ছে সূর্য।
বিপরীত আকাশে কলাপ মেলছে চাঁদ
রাখালের বিচিত্র ডাক শুনে
অন্তিমবার, উঠে দাঁড়ায় ধেনুগুলি
প্রতিটির মুখ অস্বাভাবিক ধার্মিক!
রাখালও ওদের মুখের কাছে
শেষবার পাঠ করে নেয় মৌনতা।
যে পথ পিচ্ছিল,
আলের যে সংকীর্ণ পথের টাল সামলে
আমি এসে দাঁড়িয়েছি এই মাঠে
ওরা এখন সেই পথ দিয়েই
খুব সাবলীল ফিরে যাচ্ছে ঘরে।
রাখালের মুখব্যাদান থেকে যেন
মৃদু অলসতা ছড়িয়ে রয়েছে চারপাশে।
আমি অস্বচ্ছ স্মৃতির ভেতর দিয়ে
খুঁজে দেখছি আমার বাল্যকাল।
নির্বাক ছবির মতো, খুব মৌন
সমস্ত চারণভূমিটি যেন এগিয়ে যায় অন্ধকারে
আর নখের দর্পণে সর্পকুলের ছবি ভেসে উঠলে
আমিও বিপদ এড়ানো মন্ত্র জপ করি।
খুব সতর্ক জ্বেলে নিই ... প্রযুক্তির মশাল।
প্রশংসাবাক্য
ওরা আজ ডেকেছে আমাকে?
প্রশংসা পাবার লোভে আমিও সেই
কৃতি ছাত্রটির মতো সামনের সারিতে বসে থাকি
ওরা নাম ধরে ডাকে, গলায় মাল্য দেয়- সংবর্ধনা দেয়;
নিহিত গৌরব এসে নিদ্রা ভেঙে বসে একপাশে, হৃদয়ের;
নন্দনের মেঘ এসে সহস্র ক্ষতের জন্ম ধূয়ে
উজ্জীবন এনে দেয়- এবং কোমল শান্ত স্বরে
একাধিক উষ্ণবাক্য দেহের ভিতরে খেলা করে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন