শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০২৪

হীরক বন্দ্যোপাধ্যায়





সঙ্গীত পরিক্রমা



আঙুরবালা অথবা গওহরজান কিংবা কে এল সায়গল আর তালাত মামুদের ঘুমের ছায়ায়

চাঁদের চোখে মনে পড়ছে,মনে কি পড়ে

বড়ে গুলাম আলি থেকে বিসমিল্লাহ

এস ডি বর্মন
হেমন্ত মান্না লতা সন্ধ্যার 

সীমাহীন আকাশ সুমন কল্যাণপুর থেকে চৌরাশিয়া

হে সঙ্গীতের অনন্ত আকাশ তোমার অপরিচয়

তোমার নিষেধাজ্ঞা জারি থাকা সত্ত্বেও

আমি ঢুকে পড়েছি আর বেরোবার উপায় নেই

সবসময়য় দুঃখ ও বেদনা  নয়

অদ্ভুত সুন্দর আনন্দ উৎসবে সামিল করে তোলে 

সঙ্গীত, মহান গায়কদের যত নিষ্ঠুরতার কথাই

শুনিনা কেন সব কিছু সরিয়ে

তখনই এক বিমূর্ত এবং ভয়ঙ্কর সুন্দর

শ্বেতশুভ্র সরস্বতী সামনে এসে দাঁড়ায়

আমি পুরনো  বেদনা ভুলে যায় .....




ভাবা যায় না


দ্য রেড এ্যান্ড দ্য ব্ল্যাক...পড়েছেন ?

ছাত্রীটি  জিজ্ঞেস করে তার মাস্টারমশাইকে

মাস্টারমশাই ইতস্ততঃ বোধ করলে কচি কলাপাতা

ছাত্রীটি বলে, আমি ইংরেজি অনুবাদ পড়েছি

....ওঃ ভাবা যায় না ...

আপশোষ একটাই যদি বাংলায় অনুবাদ হোত...

বৃষ্টি থেমেছে অনেকক্ষণ 

জানলা দিয়ে আসছে সফেদ জ্যোৎস্না

প্রফেসর একা বসে বসে ভাবছেন

স্তাঁদালের অনেক উপন্যাস শুধু পড়াবার 

জন্যই পড়েছেন, কিন্তু দ্য রেড এ্যন্ড দ্য ব্ল্যাক ...

সত্যিই ভাবা যায় না...

প্রথম চুম্বনের মতো মর্মান্তিক 

সে ওষ্ঠাধর  ভরে থাকে  বিষে 

সে যন্ত্রণায়  ভরে থাকে  সারাটা জীবন  ......



মনে পড়ে


এখনো সে কথা মনে পড়ে আর স্নায়ু তরঙ্গ 

কাঁপতে থাকে...

আমার শরীরে তখন এক আকাশ ঝড়

এক আকাশ আগুন

আমার শরীরে তখন মেঘ ভাঙা বৃষ্টি

এক সমুদ্র  গরল ....

মনে পড়ে আর কেঁপে কেঁপে উঠি

সে সব স্মৃতি

সমস্ত ধুয়ে মুছে গেলেও

এখনও কিছু রয়ে গেছে আদমসুমারিতে যা ধরা পড়ে

সেও প্রায়ই ছাব্বিশ বছর আগে গুলমোহর ক্লাবে শচীন বাবুর আহ্বানে কলকাতা থেকে এসেছিলেন  সুনীল শক্তি আপনি দর্শক আসনে বসেছিলেন চুপটি করে,সেই শুরু তারপর কত পূর্ণিমা অমাবস্যা চলে গেছে আপনার কবিতার অসাধারণ ছন্দ রয়ে গেছে

প্রেম বলে

 কিছু ছিল না তখন আমার জীবনে

ভালবাসা আবিষ্কার হয় নি

পুরুষ বা রমণী তখনও আ্যমিবা হাইড্রা কিংবা

প্লাটিহেলমিনথেস....

স্বপ্নেও

 সেকথা মনে পড়লে এখনো স্নায়ু তরঙ্গ কাঁপতে থাকে, ভেঙে পড়ে সমস্ত কান্নার ট্যাঙ্ক

অশ্রুথলী ..পাখিদিবসের গান ...


তখন বাতাসের  ঘূর্ণি কখন থেমে গেছে  

তখন সিপাহশালার আর পাশা খেলতে ভালো  লাগে না,তখন বাইরে  কী ভীষণ  বৃষ্টি উন্মুক্ত খনিগর্ভ

ঝড় উড়িয়ে  নিয়ে  যাচ্ছে  দিগন্ত 

বন্ধ সব দোকানের  তালা

ঝুলিয়ে দিয়ে  গেছে ঘুমের ভিতরে  অসংখ্য  ঘুমের চারাগাছ হাতঘড়ি এবং  কলম

অথচ  মানুষ তখনো ক্রুদ্ধ এবং  উদাসীন 

তখনো ধূর্ত এবং  মোলায়েম 

প্রতিপক্ষ  ন য় কিন্তু  আদপে প্রতিপক্ষ ই  ছিলো

আজ সব কথা আগুনের ফুলকি


এখনো সে কথা  মনে  পড়লে স্নায়ুতন্ত্র কঁাপে

সেই  সব স্মৃতি 

মুছে গেলেও কিছুটা  ধরা আছে  কৃষ্ণ মৃত্তিকায় ... ... 




সে চোখে


আকাশপরীরা নেমে আসে শিউলিতলায়

আমি দেখি

কিন্তু সে চোখ আর আছে কি কোথাও ?

সে চোখে বিস্ময় কৈশোরের কলতান

শৈশবের গান মৃদু অভিমান...

সেখানে পৌঁছতে আরো কোটি জন্ম 





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সম্পাদকের কলমে

মাস আসে মাস যায়। বছর গড়ায় বুলেট ট্রেনের গতিতে। নিরীহ মানুষ, হাভাতে মানুষ, দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ থাকে তার নির্দিষ্ট ঘূর্ণি আবর্তে। পৃথিবীর...