শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০২৪

সুপ্তিতা কুণ্ডু


  নীরব বলিদান  



দুর্গম পাহাড় চিড়ে গিরিখাত রচনার সাহস রাখে--

শৈশবে সে এমনই দুরন্ত ও অকুতোভয় ।


ক্ষীণ কটি কিশোরী স্রোতস্বিনী কে 

পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে চোখে হারাই আমরা... 


কিশোরীর মন জুড়ে থাকে ,

উচ্চতমর দেওয়া ভালোবাসা উজাড় করে ..

বিলিয়ে দেওয়ার ঐকান্তিক ইচ্ছা  ! 


সমস্ত বাধা বিঘ্ন কাটিয়ে- সে যখন দুশ্চিন্তা মুছে

শান্ত  প্রবাহে একের পর এক জনপদ 

পার হয়ে যায়...

দু- কূল ভরা মমতা নিয়ে 

আড়ে ও বহরে সে তখন যৌবনা  ;

ঠিক তখনই  ' মা ' শিরোনামের 

মহার্ঘ্য বাতাস এসে ছলাৎ  ছলাৎ  ঢেউ তোলে..

বাৎসল্যের পরিপূর্ণ আঁচল জুড়ে ।


যদিও চিরকাল কিভাবে যেন  

লোকচক্ষুর আড়ালেই থেকে যায় মাতৃ নির্যাতনের 

স্পষ্ট চিহ্নগুলো...


বাদবাকি, জীবনের অন্তিম অধ্যায়ে - 

বড় শ্রান্ত গতিপথে সে ক্রমশ:  শোনে ..

সাগরের ফেনিল অট্টহাস্যে তার নিজস্বতার লোপাট


ধীর লয়ে বিলীন হয়ে যাওয়া 

খরস্রোতা চঞ্চলার নীরব বলিদান !








কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সম্পাদকের কলমে

মাস আসে মাস যায়। বছর গড়ায় বুলেট ট্রেনের গতিতে। নিরীহ মানুষ, হাভাতে মানুষ, দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ থাকে তার নির্দিষ্ট ঘূর্ণি আবর্তে। পৃথিবীর...